খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব ##

করোনা ভাইরাস ও হ্নদয়রোগে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবে একদিনের ব্যবধানে আরও ৬ বাংলাদেশি রেমিটেন্সযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

২০ এপ্রিল এসব প্রবাসীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ পায়।

তারা হলেন-
১/ করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেদ্দার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবাসী মোহাম্মাদ ফিরোজ (৩৫) মৃত্যু হয়। তিনি জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে গ্রাউন সার্ভিসের কর্মকর্তা ছিলেন। তার বাড়ী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ৩নং জিরতলী ইউনিয়ের বড় হোসেনপুর গ্রামের আখন্দ বাড়ীর রুহুল আমিনের একমাত্র পুত্র।
২/ মক্কা নগরীর নিজ বাসায় স্ট্রোক করে মোহাম্মাদ মহিউদ্দিনের (৫০) মৃত্যু হয়। তার বাড়ী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সমিতির হাট ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর চৌধুরী বাড়ীর আবদুর রউফের পুত্র।
৩/ সৌদি আরবের একটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর নুর (৫৩) মৃত্যু হয়। তার বাড়ী কানাইঘাট উপজেলার ৩নং দিঘিরপার ইউনিয়নের জয়ফৌদ গ্রামে।
৪/ ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টে মক্কা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলহাজ্ব মনজুর আহমদের (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মরহুম কাজেম আলী মাষ্টারের পুত্র।
৫/ মদিনা নগরীতে মোহাম্মাদ মামুন (৪০) মৃত্যু হয়। তিনি আল ফাহাদ নামে একটি কোম্পানিতে ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায়। ৬/ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মক্কার একটি হাসপাতালে মোঃ ইব্রাহিম হলিল (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তিনি ছাফা টাওয়ারে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার মধ্যপ্রাচ্য দেশ সৌদি আরবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে দেশটির চলমান আইনে অনির্দিষ্টকালের কারফিউতে অবরুদ্ধ ও গৃহবন্দী অবস্থায় আছে প্রবাসীরা।

বেকার হয়ে অর্থ সংকট ও মানসিক-পারিবারিক চিন্তায় প্রতিদিন হচ্ছে মৃত্যু অনেকের।

গত ২ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে ১৮ জন বাংলাদেশি মারা গেলেও একই সময়ের মধ্যে নানা চিন্তায় হ্নদয়রোগে আক্রান্ত হয়ে অনন্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি রেমিটেন্সযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, গত ২০ এপ্রিল সৌদি আরবে নতুন করে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১১২২ ও মৃত্যু হয়েছে ৬ জন। যার মধ্যে পবিত্র নগর মক্কায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪০২ জন।

এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০,৪৮৪ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০৩ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৪৯০ জন। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৮৮৯১ জন।